অসম্ভবকে সম্ভব করে ৭৪ শিল্পীকে নিয়ে সিনেমা হলে যাচ্ছেন অনন্ত

অসম্ভবকে সম্ভব করে ৭৪ শিল্পীকে নিয়ে সিনেমা হলে যাচ্ছেন অনন্ত

অনলাইন বিনোদন ডেস্ক :

অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্ত জলিলের কাজ

এমন একটা ট্যাগ আছে চিত্রনায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের পিঠে। এবার সেটাই আরও একবার সামনে আনলেন এই আলোচিত প্রযোজক-নায়ক। জানালেন শুধু অনন্ত-বর্ষা নয়, সোমবার (১৮ জুলাই) চলচ্চিত্রের ৭৪ জন শিল্পীকে নিয়ে একসঙ্গে দেখবেন তার নতুন ছবি ‘দিন দ্য ডে’। যদিও অনন্তর এমন ঘোষণার পর সমালোচকদের একটাই প্রশ্ন- এতো শিল্পী তিনি একসঙ্গে পাবেন কোথায়! অবশ্য সেই অসম্ভবকে বাস্তবে দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা।

অনন্ত জানান, ১৮ জুলাই যমুনা ব্লকবাস্টারে সন্ধ্যা ৭টার শো দেখবেন তারা। রোববার (১৭ জুলাই) অনন্ত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এবার শুধু আমি বা বর্ষা নই, ‘দিন দ্য ডে’ দেখবেন আমাদের চলচ্চিত্রের ৭৪ জন আর্টিস্ট। আমরা একসঙ্গে ছবি দেখবো। আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সাংবাদিক ভাইয়েদেরও। এবার ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এরমধ্যে শতাধিক ও সর্বাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে অনন্ত জলিল প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দিন দ্য ডে’। এই সিনেমাতেও অনন্তর নায়িকা স্ত্রী বর্ষা। এটি পরিচালনা করছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম।

এদিকে নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল মূলত গার্মেন্টস ব্যসায়ী। তার প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার কর্মী কাজ করেন। বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি হলেও তিনি জানালেন, ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকাও নেই। ব্যবসা থেকে যা আয় করেন তা ইনভেস্ট ও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে থাকেন। শনিবার (১৬ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত জলিল বলেন, আমার একাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কিনা আমি জানিনা। আমি কখনও টাকা সেভিংস করি না। যত টাকা ইনকাম করেছি, সেটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বাড়িয়েছি। আমার ভাই যখন কোম্পানি শুরু করে তখন মাত্র ২০০ লোক কাজ করতো। আমি যখন কোম্পানিতে আসি, তখন ৪০০ লোক কাজ করতো। আর এখন সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। ৬৪ বিঘার ওপর ফ্যাক্টরি। যতটুকু ইনকাম করি সেটা ইনভেস্ট করি আর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাই। মরার পর ব্যাংক-ব্যালেন্স কারও সঙ্গে যাবে না।

অনন্ত জলিলের এই সাক্ষাৎকারও অনলাইনে ভাইরাল হয়। এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই অনন্ত জলিল প্রশংসায় ভাসছেন। অনেকেই তার এমন বক্তব্যকে সমর্থন করেন। অনন্ত জলিলের বড় মনেরও অনেকে প্রশংসা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *