অনলাইন ডেস্ক :
স্বপ্নীল সজীব, বাংলাদেশে এই প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীত’কে যে শিল্পী মনে প্রাণে লালন করেন এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়েই তার যতো ভাবনা। তার ধ্যান, জ্ঞান, অধ্যবসায় সবই ছিলো গানকেজ ঘিরে, বিশেষত রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ঘিরে। যে কারণে স্বপ্নীল সজীব নিজেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতে একজন আস্থাভাজন শিল্পীতে পরিণত করতে পেরেছেন।
ছোটবেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সঙ্গীতে দুইবার এবং ফোক গানে দুইবার স্বর্ন পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। গানে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বপ্নীল সজীবের আগে আমেরিকা থেকে ‘বঙ্গ সম্মেলন সেরা বাঙ্গালী’, ভারত থেকে ‘অনন্য কৃতি সম্মান’, লন্ডন থেকে এসি ফাউন্ডেসন অ্যাওয়ার্ড, মরক্কো থেকে ‘এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’, দুবাই থেকে ‘গ্লোবাল মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’, অষ্ট্রেলিয়া থেকে ‘আইকনিক অ্যাওয়ার্ড’ ও কানাডা থেকে ‘কানাডা চেম্বার’স অব কমার্স অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের মেধার মূল্যায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার নেপাল থেকে আন্তর্জাতিক সম্মাননায় আবারো ভূষিত হলেন। নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েসন থেকে বাংলাদেশের সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বপ্নীল সজীবকে আন্তর্জাতিক আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২১-এ ভূষিত করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর কাঠমুন্ডুর নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড অডিটোরিয়ামে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নারায়ণ খড়গা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী’সহ আরো অনেকে।
স্বপ্নীল সজীব বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকে পুরস্কৃত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং সম্মানের। আমি ব্যক্তিগতভাবে নেপালের মানুষের কাছ থেকে বাংলা গানের প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা অনুভব করেছি। আমরা আমাদের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপন করছি এবং এই পুরস্কারটি আমার দেশ বাংলাদেশের জন্য শ্রদ্ধার সাথে উৎসর্গ করছি।’ পুরস্কার গ্রহণ শেষে অনুষ্ঠানে স্বপ্নীল সজীব বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী ও নেপালী গান পরিবেশন করেন। স্বপ্নীল সজীব ‘স্বপ্নীল ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার কিছু জনপ্রিয় মৌলিক গানও রয়েছে, যেমন ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, ‘খয়েরি বিকেল, ‘পারি না সামলাতে’।