এবারের গ্র্যামি’র মঞ্চ মাতালেন যারা

এবারের গ্র্যামি’র মঞ্চ মাতালেন যারা

অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্ব সংগীতের অন্যতম সম্মানজনক স্বীকৃতি গ্র্যামি ৷ চলতি বছরে ৬৪তম গ্র্যামি অনুষ্ঠিত হল লাস ভেগাসে৷ যুদ্ধপীড়িত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভাষণ দিলেন এই মঞ্চে৷

সেরা পপ ভোকাল অ্যালবাম

লাস ভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন আরেনায় গ্র্যামির মঞ্চ মাতিয়ে দিলেন অলিভিয়া রদরিগো৷ সুরেলা কণ্ঠে শ্রোতাদের মন ভোলালেন নবীন এই সংগীতশিল্পী৷ সেরা পপ ভোকাল অ্যালবামের জন্য পুরস্কার পেলেন ১৯ বছরের অলিভিয়া৷ পপ অ্যালবামটির নাম ‘সাওয়ার’৷

‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’

সিল্ক সোনিক দল মঞ্চে আসতেই চারদিক থেকে করতালির শব্দ ভেসে আসছিল৷চলতি বছরের গ্র্যামিতে সেরা গানের পাশাপাশি ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারটিও পেয়েছে সিল্ক সোনিক৷

সেরা অ্যালবাম

বছরের সেরা অ্যালবামের জন্য এবার গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন জন বাতিস্তে৷ তার গানের অ্যালবামের নাম ‘উই আর’৷

গাগার উজ্জ্বল উপস্থিতি

আশিটির বেশি বিভাগে গ্র্যামি দেওয়া হয়েছে এবারের আসরে৷ লেডি গাগার উপস্থিতিতে গ্র্যামির মঞ্চ আরও বেশি ঝলমল করছিল৷ তিনি গাইলেন, ‘‘লাভ ফর সেল’’৷

মাতিয়ে দিল লিল নাস এক্স

অ্যামেরিকান র‍্যাপার লিল নাস এক্সের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখা গেল গ্র্যামির মঞ্চে৷ ‘কল মি বাই ইওর নেম’ কিংবা ‘ইন্ডাস্ট্রি বেবি’ যারা পারফর্ম করেন, তাদের কি সংগীতপ্রেমীরা ভুলতে পারেন?

জেলেনস্কির আহ্বান

গ্র্যামির মঞ্চ এবার ছিল একটু অন্যরকম৷ সংগীত সম্মানের মঞ্চে একটি ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের পাশে থাকতে আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷দেশের দুর্দিনে সংগীতই দিশা দেখাতে পারে, এমনটাই বলেন তিনি৷ দেশকে বাঁচাতে সংগীত শিল্পীদের জেলেনস্কির কাতর আবেদন গ্র্যামির মঞ্চে অন্য মাত্রা যোগ করেছিল৷

ইউক্রেনের সংগীত

ইউক্রেনের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিকা নিউটনও গান করেন গ্র্যামির মঞ্চে৷ চলতি বছরে গ্র্যামি কর্তৃপক্ষের তরফে ‘স্ট্যান্ড আপ ফর ইউক্রেন’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ক্যাম্পেন শুরু করা হয়েছিল৷ সহকারী সংস্থা গ্লোবাল সিটিজেনের উদ্যোগে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য এই ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে৷

দরজা খোলা

চলতি বছরে সেরা গান নির্বাচিত হয়েছে ‘লিভ দ্য ডোর ওপেন’৷ এ গানে সুর করেছেন ব্রুনো মার্স এবং অ্যান্ডারসন পাক৷ গ্র্যামি পুরস্কার নিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তারা৷

কলম্বিয়ার সুর

কলম্বিয়ান বংশোদ্ভূত গায়ক জে বালভিন গ্র্যামির মঞ্চ মাতিয়ে দেন ‘ইন লা গেত্তো’-র সুরে ৷ তার গানের পাশাপাশি কোরিওগ্রাফি এবং মঞ্চের আলোকসজ্জাও ছিল চোখে পড়ার মতো৷

শো-বিজ জমজমাট

শো-বিজ জগতের অন্যতম মঞ্চ গ্র্যামিতে ‘হ্যাপিয়ার দ্যান এভার’ পারফর্ম করলেন বিলি আইলিশ৷চলতি বছরে সাতটি বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি৷

নামেই কামাল

বিটিএস–নতুন প্রজন্মের সংগীতপ্রেমীদের কাছে একটা নামই যথেষ্ট৷ দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে এই পপ গানের দলের৷দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১ মিলিয়ন অ্যালবাম কপি বিক্রি করা দলের নাম বিটিএস৷ গ্র্যামির মঞ্চে তারা থাকবেন না, এমনটা হয় নাকি! এই নিয়ে পরপর তিন বার গ্র্যামির মঞ্চ মাতাল এই দল৷

যুগলে সেরা পপ

দোজা ক্যাট এবং এসজেডএ-র ‘কিস মি মোর’ এবারের গ্র্যামি মঞ্চে সেরা ‘পপ ডুও’ সম্মান পেয়েছে৷

শ্রোতাদের মন জয়

গ্র্যামির ‘সং অফ দ্য ইয়ার’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ব্র্যান্ডি কারলাইল৷ চলতি বছরে পুরস্কার না পেলেও পারফরম্যান্সে তিনি শ্রোতাদের মন ভোলালেন৷ বছরের সেরা রক সংগীত নির্বাচিত হয়েছে ফু ফাইটার্সের ‘ওয়েটিং অন আ ওয়ার’৷

সেরা বিকল্প সংগীত

সেন্ট ভিনসেন্টের ‘ড্যাডিজ হোম’ গ্র্যামির মঞ্চে সেরা ‘অলটারনেটিভ মিউজিক’ অ্যালবামের সম্মান পেয়েছে৷

বিবারে মাতোয়ারা

চলতি বছরে আটটি বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাস্টিন বিবার৷ গ্র্যামির মঞ্চে বিবার গাইলেন তার বিখ্যাত গান ‘পিচেস’৷

তথ্যসূত্র : ডয়চে ভেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *