
অনলাইন ডেস্ক :
নব্বইয়ের দশকের সময়গুলোতে শাহরুখ খানের সিনেমা মানেই ছিল অভিজিৎ ভট্টাচার্যর গান! সেসময় সবাই মশকরা করে বলতো, বাঙ্গালী শিল্পীদের গানের জোরেই শাহরুখকে সবাই বাদশা উপাধি দিয়েছে। আর সেই উপাধিই এখন মানুষের মুখে মুখে। কুমার শানু কিংবা উদিত নারায়ণের গানেও লিপ দিয়েছেন শাহরুখ খান, কিন্তু অভিজিৎ ভট্টাচার্যর কণ্ঠে তাঁর সিনেমা যে কটা গান রয়েছে, তার সবকটাই সেসময়ে টপচার্টে হিট। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকেই কিং খানের সঙ্গে অভিজিতের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফলে ‘বিল্লু’র পর থেকে শাহরুখের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।
শাহরুখের ‘একসময়কার’ গায়ক-বন্ধু অভিজিৎ ভট্টাচার্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা দুজনেই বৃশ্চিক রাশিজাত। আমার অক্টোবরের ৩০ তারিখ জন্ম, ওঁর নভেম্বরের ২ তারিখে। আমাদের স্বভাবও অনেকটা এক। নিজেদের নিয়ে গর্ব করি না ঠিকই তবে আমাদের আত্মসম্মান বোধ মারাত্মক। আমাদের দুজনের মধ্যে অবশ্য কিছু সমস্যাও রয়েছে। আমি বহুবার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। তবে ও খুব ব্যবসাটা বোঝে। শাহরুখ তোমাকে ব্যবহার করবে। আর নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থে তারপর তোমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেও দ্বিধাবোধ করবে না।”
এর পাশাপাশি শাহরুখের প্রশংসাও অবশ্য করলেন অভিজিৎ। বললেন, “কিন্তু ওকে যেভাবে অ্যান্টি ন্যাশনাল বলে কটাক্ষ করা হয়, সেটা ঠিক নয়। শাহরুখের থেকে বড় জাতীয়তাবোধ আর কারও নেই। ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’, ‘স্বদেশ’, ‘অশোকা’ ইত্যাদি সব ছবিগুলোতে সে হিন্দু সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। সব খানদের মধ্য়ে শাহরুখের জাতীয়তাবোধই সবথেকে বেশি। আর কাউকে তো দেখি না দেশের জন্য কিছু করতে।”
শাহরুখের সঙ্গে অভিজিতের ‘বড়ি মুশকিল হ্যায়’, ‘জারা সা ঝুম লু ম্যায়’, ‘ম্যায় কোই অ্যাইসা গীত’ থেকে ‘তুমহে জো ম্যায়নে দেখা’, ‘ধুম তা না’র মতো শাহরুখের ছবিতে বহু সুপারহিট গান রয়েছে। প্রসঙ্গত, বরাবর সোজাসাপটা কথা বলে সংবাদের শিরোনামে থাকেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। যার জেরে কাজের জায়গাতেও কম ভুগতে হয়নি তাঁকে! অতীতে এক ঝামেলার জন্য শাহরুখ খানের সঙ্গেও তাঁর কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।