অনলাইন ডেস্ক :
শীত মৌসুমে দেশে মধুর খাওয়ার আয়োজন চলে গ্রামে কিংবা শহরে। মধু খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য। তবে মধু খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের তথ্যের মতে মধুর অনেক অনেক উপকারিতা আছে, যা মানব শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকর। মধুর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপকারিতার কথা তুলে ধরা হল :
১. মধু মানব শরীরে তাপ ও শক্তি যুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে সব সময়।
২. মধুতে যে শর্করা থাকে সেটি হজম দ্রুত, ফলে পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বেশ উপকারী।
৩. মধুতে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স তা মানব শরীরের ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। খাঁটি মধু ভোরবেলা খেলে তা পেট ভাল থাকে।
৪. মধুতে অনেক পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় রক্তশূন্যতায় রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে।
৫. মধু ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে খুব উপকারী। এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অনেক ভালো।
৬. মধু অনিদ্রা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এক গ্লাস পানির সাথে দুই চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুমের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী।
৭. প্রতিদিন মধু সঙ্গে ছোলা মিশিয়ে খেলে যৌন দুর্বলতা দূর করতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৮. মধু মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ কার্যকর। মধু দাঁতের ক্ষয়রোধ করে, দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে, মুখের ভেতরের গাঁ ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সহায়তা করে।
৯. মধু পাকস্থলীতে হজমের গোলমাল দূর করে। এছাড়া মধু মুখের অরুচি, বমিভাব ও বুকজ্বালা দূর করতে সহায়তা করে।
১০. মধু শীতের দিনে ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
১১. মধু গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে।
১২. মধু মেয়েদের রূপচর্চায় অনেক উপকারী। মুখের ত্বকের মসৃণতা বাড়াতে মধু কার্যকরী।
১৩. মধুতে কোনো চর্বি না থাকায় পেট পরিষ্কার করে এবং চর্বি কমায়, ফলে ওজনও কমে।
১৪. মধু খেলে গলার স্বর শ্রুতিমধুর হয়।
১৫. মধু খেলে স্বাস্থ্য এর তারুণ্যতা বজায় থাকে এবং বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
১৬. দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশিয়ে খেলে তা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং এটি হৃদরোগ সাড়ানোর টনিক হিসেবে কাজ করে।
এছাড়াও মধুর শরীরের আরও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য অনেক উপকারী। যা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।