অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রে অবিস্মরণীয় এক বিস্ময় মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তিনি বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
বাংলাদেশের পাবনায় জন্ম নেওয়া সুচিত্রা সেন এর জন্মসূত্রে নাম ছিল রমা দাসগুপ্ত। ১৯৪৭ সালে এক শিল্পপতির ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রমার। ফলে স্বামীর নামের সঙ্গে মিল রেখে শেষের দাশগুপ্ত কেটে যোগ হয় সেন।
তৎকালীন দেশভাগের কিছুদিন পূর্বে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান রমা সেন। স্বামী দিবানাথ সেনের ইচ্ছেতেই রমা সেন চলচ্চিত্রে পা রাখেন।
রমা সেন (সুচিত্রা সেন) অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম ‘শেষ কোথায়’। এ অমুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু হয়েছিল। এ সিনেমার শুটিংয়ের এক পর্যায়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্ত বললেন, রমা নাম পাল্টাতে হবে।
তৎকালীন সিনেমার সহকারী পরিচালক নিতিশ রায় বললেন, ‘সুচিত্রা সেন’। ফলে বাস্তব জীবনের রমা সেন থেকে চলচ্চিত্রে এসে হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। নামকরণের সময় নীতিশ রায়ও ভাবতে পারেননি একদিন ওই নামটাই বাংলা সিনেমার এক কিংবদন্তি নাম হিসেবে আবির্ভাব হবে!
বাংলা ভাষার সিনেমায় উত্তম-সুচিত্রা জুটি এখনও তুমুল জনপ্রিয়। সুচিত্রা সেন উত্তম কুমারের বিপরীতে ১৯৫৪ সালে প্রথম অভিনয় করেন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমাতে।
সুচিত্রা সেন ১৯৫৫ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘দেবদাস’ এ অভিনয় করেন এবং এই ছবিতে পারু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পদক, ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা পদক’সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন।