অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর। তিনি শুধু অভিনেতা নন, একাধারে তিনি একজন প্রযোজক, পরিচালক ও গায়কও। বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে শাবানা-আলমগীর জুটি খুবই জনপ্রিয়। তবে তিনি কবরী, ববিতা, রোজিনা, সুচরিতা, অঞ্জু ঘোষসহ অসংখ্য নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার চলচ্চিত্র অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন এবং নির্মাণ করেছেন ৭টি সিনেমা।
আশি ও নব্বইর দশক নায়ক আলমগীর দাপুটের সাথেই অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সামাজিক, পারিবারিক, অ্যাকশন, রোমান্টিকসহ সব রকমের সিনেমায় ছিল জনপ্রিয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আমার জন্মভূমি’র মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্রের অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। তারপর একে একে ‘দস্যুরাণী’, ‘মনের মানুষ’, ‘আগুনের আলো’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বৌমা’, ‘ভাত দে’, ‘গরীবের বউ’, ‘পিতা-মাতা’, ‘স্ত্রীর মর্যাদা’সহ বহু আলোচিত ও সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
১৯৮৫ সালে ‘নিষ্পাপ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন আলমগীর। ১৯৯৬ সালে তিনি নির্মাণ করেন ‘নির্মম’। এছাড়া তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ‘আগুনের আলো’ চলচ্চিত্রে প্রথম কণ্ঠ দেন। তারপর ‘কার পাপে’, ‘ঝুমকা’ ও ‘নির্দোষ’ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন তিনি।
চিত্রনায়ক আলমগীর ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা হিসেবে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শ্রেষ্ঠ ‘মা ও ছেলে’ (১৯৮৫) ছবিতে অভিনয় করে। তাছাড়া গুনী এই অভিনেতা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন।