ভারী মেকাপ নিয়ে এতিমখানায় মাহি, সমালোচনার ঝড়

ভারী মেকাপ নিয়ে এতিমখানায় মাহি, সমালোচনার ঝড়

অনলাইন ডেস্ক :

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন হুট করে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকা মাহিয়া মাহি। এরই মাঝে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রচারণা চালিয়ে আলচনা ও সমালোচনার শীর্ষে রাজশাহী-১ আসন থেকে ট্রাক আসনে নির্বাচন করা এই অভিনেত্রী। আসনটি গোদাগাড়ী-তানোর উপজেলা নিয়ে গঠিত।

যখন যেখানে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা হওয়ার সুবাদে মুহুর্তের মাঝেই সর্বসাধারণ লোকজন ভীড় জমাচ্ছেন। আর এই সুযোগে মাহি ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। কখনো প্রাইভেট গাড়ীর ভেতরে থেকে হ্যান্ড মাইক নিয়ে ভোটারদের উদ্দেশ্যে নানান প্রতিশ্রুতিসহ বর্তমান সংসদ সদস্যের কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরছেন।

আবার বিভিন্ন পাড়া মহাল্লায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করার সময় বাড়ীর নারী ভোটারসহ শিশুদের পরম মততায় মাথায় গালে হাত দিয়ে আদরের পরশ বুলিয়ে বুকে টেনে নিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রতীক ট্রাকে ভোট চাইছেন আবার তাদের মুখ দিয়ে কি প্রতীকে ভোট দিবেন প্রশ্ন রেখে প্রতীকটির কথা বলিয়ে নিচ্ছেন।

এর আগে নির্বাচিত হলে নারীরা ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা আয় করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার মুখে ভারী মেকাপ দিয়ে এতিমখানায় যাওয়ায় আবারও সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন মাহিয়া মাহি।

সম্প্রতি ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এই অভিনেত্রীর একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে, যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাহি নিজের ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। এবং মাহির পাশে এতিমখানায় পড়ুয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা বসে আছেন। পাশ থেকে হুজুর মুনাজাত করছেন।

ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রচারণা চালিয়ে আলচনা ও সমালোচনার শীর্ষে রাজশাহী-১ আসন থেকে ট্রাক আসনে নির্বাচন করা এই অভিনেত্রী।

ভিডিওগুলোর কমেন্টে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই লিখেছেন মেকাপ বেশি হয়ে যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ লিখেছেন, অভিনেত্রী তো তাই সব জায়গায় অভিনয় করে বেড়াচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার এ ভিডিওগুলোর নীচে প্রশংসা করে লিখেছেন কেউ পরিবর্তন হতে চাইলে তাঁকে সুযোগ দেয়া উচিত।

ওই ভিডিওর নীচে তানজিন তিশা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, ”সবই ঠিক আছে বুঝলাম কিন্তু এতো মেকাপ কেন”। দাউদ হাসান নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেন, সারাদিন মেকাপ করে থাকা লাগে, মাদরাসায় দোয়া নিতে গেলেও এতো ভারী মেকাপ, এটা একটা বিরক্তিকর অবস্থা। দেখে বমি আসছে। রথি সরকার নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন ‘গাল দুইটা এত গোলাপি করা লাগবে কেন বুঝিনা।”

তবে এতো এতো সমালোচনার ভীড়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন মাহিয়া মাহির প্রচারণা কৌশলের। আকলিমা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, কারোর পরিবর্তনে কেউ হাসবেন না। কারন আমরা কেউ জানি না কার হেদায়েত কখন আসে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *